মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই পক্ষের পাল্লাপাল্টি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে বাউফল হাসপাতালে ও ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎস্যা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চন্দ্রদ্বীপ এলাকার চরমিয়াজান গ্রামের ইবতেদায়ী মাদ্রাসার দক্ষিন পার্শ্বে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অপরদিকে গতকাল তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কনকদিয়া ইউপির বায়তুর নুর জামে মসজিদের সামনে ৬ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউপির সালাম হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাওলাদার করোনা উপলক্ষে দেয়া ৩০ কেজির চাল আনার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফোরকান দর্জির ছেলে হাসান দর্জি নাজমুলের গায়ে তার বাই সাইকেল উঠিয়ে দেয়। ফোরকান দর্জি ইউপি মেম্বর প্রার্থী বাবুল হাওলাদার গ্রুপ ও নাজমুল হাওলাদার অপর মেম্বর প্রার্থী কামাল হোসেনের পক্ষের সমর্থক। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে দুই গ্রুপের লোকজন এসে লাঠি ও লোহার পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে কামাল গ্রুপের কালু হাওলাদার, আকলিমা, লাইজু বেগম, কামাল হাওলাদার, সালাম হাওলাদার, কালাম হাওলাদার ও তাছলিমা সহ ৯ জন আহত হয়।
অপরদিকে বাবুল গ্রুপের জিয়াউর রহমান, সাইুফুল হাওলাদার, ইউসুফ মৃধা, সোহেল, ইদ্রিস, নাসির সহ ১২ জন আহত হয়। ওই সময়ে বাবুল গ্রুপের লোকজন সালাম হাওলাদারে বাড়িতে গিয়ে তিনটি ঘরে নারকীয় তাণ্ডব করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। জরুরী বিভাগের ডাক্তার নূর আহম্মেদ সাঈদ জানান, আশংকাজনক অবস্থায় কালু হাওলাদার, আকলিমা ও জিয়াউর রহমানকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে তারাবি’র নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মনিরুজ্জামান (৩৬) নামের এক মুসুল্লিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে কতিপয় দুর্বৃত্ত। রাত সারে ৮ টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউপির বায়তুর নুর মসজিদের সামনে ওই ঘটনা ঘটেছে। চিৎকার শুনে মসজিদের মুসুল্লীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো ৫ মুসুল্লিদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে তারা। ওই ঘটনায় পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ৬ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তী করেছে।
আহতরা অভিযোগ করেন, গভীর রাতে বাড়ির উপর দিয়ে চলাচলে নিষেধ করায় স্থানীয় টিপু, লাচ্ছি, মক্কা ফিরোজ ও ইয়াবা ডালিম তাদের উপর এ হামলা চালিয়েছে।
বাউফল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জানান, চন্দ্রদ্বীপের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিবো। কনকদিয়া এলাকার ঘটনায় অফিসার তদন্তে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আহতরা অভিযোগ করেন, এ হামলা চালিয়েছে।
Leave a Reply